দুই পাশে সারি সারি শুকনো গাছ, দুর্ঘটনার আশঙ্কা

0
90
দুই পাশে সারি সারি শুকনো গাছ, দুর্ঘটনার আশঙ্কা
দুই পাশে সারি সারি শুকনো গাছ, দুর্ঘটনার আশঙ্কা

সাতক্ষীরা-আশাশুনি সড়কের দুই পাশে লাগানো শত শত গাছ শুকিয়ে গেছে। ঝড়ে এসব গাছের ডাল ভেঙে যায়। সম্প্রতি চাঁদপুর এলাকায় সড়কের ফটক।

সাতক্ষীরা-আশাশুনি সড়কের দুই পাশে শতাধিক মরা গাছ। বৃষ্টি হলেই রাস্তায় গাছের ডাল পড়ে যায়। ফলে ওই সড়কে চলাচলকারী শিক্ষার্থী ও পথচারীরা আতঙ্কের মধ্যে দিয়ে চলাচল করছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আগেই প্রশাসনের এসব গাছ অপসারণ করা দরকার।

সরেজমিনে ৮ এপ্রিল সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, আঁকাবাঁকা সড়কের ব্রহ্মরাজপুর, রামচন্দ্রপুর, সাত্তার মিল, ভালুকা চাঁদপুর, কোমরপুর, কুলিয়ার মোড়, বুধহাটা, কাদাকাটি, শোবনালী, গোয়ালডাঙ্গা ও বড়দল এলাকায় এসব শুকনো গাছ ভেঙে পড়েছে। এই গাছগুলোর কোনো পাতা নেই, শুধু ডালপালা।

চাঁদপুর গ্রামের শিক্ষক আনারুল ইসলাম জানান, এ সড়ক দিয়ে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করে। ঝড়-বৃষ্টি হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।

কুলায়র মোড় এলাকার গোলাম মোস্তফা জানান, তিনি ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালান। রাস্তার দুই পাশে মরা গাছ থাকায় দিনরাত আতঙ্কে যাতায়াত করতে হচ্ছে। রাস্তার পাশের এসব গাছ কাটার জন্য স্থানীয়ভাবে জেলা পরিষদের কাছে বারবার অনুরোধ করা হয়েছে। তারপরও কেন এসব গাছ অপসারণ করা হচ্ছে না তা কেউ জানে না।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সাতক্ষীরা থেকে আশাশুনি পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার সড়কের দুই পাশে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ ও স্থানীয় লোকজন ২০-২৫ বছর আগে শিশুগাছ লাগিয়েছিলেন। কিন্তু দুই বছর আগে গাছগুলো শুকিয়ে যেতে শুরু করে। বর্তমানে গাছগুলো সম্পূর্ণ শুকিয়ে গেছে। ঝড়ে গাছের ডাল ভেঙে যাচ্ছে। ছোটখাটো দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন পথচারীরা। ছয় মাস আগে সড়কের কোমরপুর এলাকায় গাছের ডাল পড়ে গুরুতর আহত হন সদর উপজেলার ফারুক হোসেন (৪০)। বর্তমানে তিনি ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারছেন না।

সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা সাধন কুমার বিশ্বাস জানান, শুধু সাতক্ষীরা-আশাশুনি সড়কের গাছই নয়, সড়কের অপর পাশের জেলা পরিষদের মরা গাছও কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মৃত গাছ শনাক্ত করা। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসককে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি মাসের শেষের দিকে বা আগামী মাসের শুরুতে দরপত্র দেওয়া সম্ভব হবে।

সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের প্রধান নাসরীন আক্তার মুঠোফোনে জানান, সাতক্ষীরা-আশাশুনি সড়কসহ বিভিন্ন সড়কের পাশে বড় বড় গাছ মরে গেছে। বিভিন্ন রোগ, মাটির উপাদান, আবহাওয়া বা ভাইরাসের কারণে এসব গাছ মারা যেতে পারে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও গবেষণা ছাড়া সঠিকভাবে বলা যাবে না।