১৫ জানুয়ারির মধ্যে ‘জুলাই ঘোষণার’ দাবি

0
346
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে 'মার্চ ফর ইউনিটি' সমাবেশ
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে 'মার্চ ফর ইউনিটি' সমাবেশ

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘জুলাই ঘোষণা’ ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছেন। মঙ্গলবার ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক সমাবেশে তারা এ দাবি জানান।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এই সমাবেশ থেকে ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণা’ ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এই ইস্যুতে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপের মধ্যে সোমবার ঘোষণা করা হয় যে সরকার শিগগিরই ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান ঘোষণা’ গ্রহণ করবে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন তখন আজকের কর্মসূচির নাম দেয় ‘মার্চ ফর ইউনিটি’। এ কর্মসূচি উপলক্ষে আজ সারাদেশ থেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতাকর্মীরা শহীদ মিনারে সমবেত হন।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ সন্ধ্যার সমাবেশে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা এই জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের কোনো ঘোষণা পাইনি।’ আমরা বলতে চাই, ১৫ জানুয়ারির মধ্যে আমাদের এই জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র জারি করতে হবে।
হাসনাত আবদুল্লাহ উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ১৫ জানুয়ারির মধ্যে আপনারা এই ঘোষণার পক্ষে প্রতিটি জেলা, পাড়া-মহল্লায় জনগণের কাছে যাবেন, জনগণের কথা শুনবেন। তারা যা বলতে চায় তা প্রকাশ করুন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আমাদের লড়াই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে, মুজিববাদীদের বিরুদ্ধে, যারা এমন ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছে তাদের বিরুদ্ধে, আমাদের ঘোষণা অব্যাহত থাকবে।
সমাবেশে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ‘জুলাই ঘোষণা’ নিয়ে রাজপথে জমায়েত হওয়ার ঘোষণা দিলে সরকার উদ্যোগ নেয় এবং ঘোষণাপত্র পাঠের সিদ্ধান্ত নেয়। সব রাজনৈতিক দল।
সরকারের এই সিদ্ধান্তকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম বিজয় উল্লেখ করে আখতার হোসেন বলেন, আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাতে চাই, এই জুলাইয়ের ঘোষণা অবিলম্বে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ঘোষণা করা হোক।
সমাবেশে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, “ভবিষ্যতে যে ঘোষণা আসবে তাতে প্রত্যেক শহীদের রক্তের কথা উল্লেখ করতে হবে। সে কথাগুলো না পেলে বাংলার চব্বিশ বছরের বাঘের বাচ্চা ও বাঘ। গত ৫৩ বছরে ধ্বংস হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংস্কার করতে হবে।
তিনি একটি নতুন বাংলাদেশ দেখতে চান জানিয়ে নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, “নতুন বাংলাদেশে কোনো শহীদ বা আহত ব্যক্তিকে উপেক্ষা করা হবে না। কোনো যুদ্ধ, সহিংসতা বা চাঁদাবাজি হবে না। খুব শিগগিরই এই যুদ্ধের অবসান ঘটাতে আমাদের সক্রিয় হতে হবে। আপনি, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা সক্রিয় না হলে, 24 বছর বয়সী বাঘের বাচ্চা আইন নিজের হাতে তুলে নেবে।”
জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক আরো বলেন, “আমাদের ভবিষ্যৎ কাজ হবে শেখ হাসিনাকে বাঙালির মাটিতে নিয়ে আসা এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা। তাকে বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিষিদ্ধ হওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।”
নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্থা শারমিনও ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ইশতেহার ঘোষণার দাবি জানান।তিনি বলেন, ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ইশতেহার ঘোষণা না হলে শিক্ষার্থীরা আবারও রাজপথে নামতে বাধ্য হবে।
সামান্থা শারমিন বলেন, বিচার ও সংস্কার নিশ্চিত না করে শিক্ষার্থীদের রাস্তায় না নামতে অনুরোধ করছি।