হাসান ইবনে আলী (রাঃ) ইসলামের ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল এবং সম্মানিত ব্যক্তিত্ব। তিনি ছিলেন মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর বড় নাতি এবং হযরত আলী (রাঃ) ও হযরত ফাতিমা (রাঃ)-এর জ্যেষ্ঠ পুত্র। তাঁর চরিত্র, নেতৃত্বগুণ, নরম স্বভাব এবং ন্যায়পরায়ণতার জন্য তিনি ছিলেন সবার শ্রদ্ধার পাত্র।
তিনি যুদ্ধের পরিবর্তে শান্তির মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে চেয়েছিলেন।
তার খিলাফতের সময় মুয়াবিয়া (রাঃ)-এর সাথে শান্তিচুক্তি করে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন, যাতে রক্তপাত না হয় — ইতিহাসে যেটিকে বলা হয় “সালামতের চুক্তি” (Sulh al-Hasan)।
তিনি ছিলেন অত্যন্ত দানশীল ও উদার। ইতিহাস বলে, তিনবার নিজের সম্পদ সবটুকু দান করেছেন, এমনকি দুবার পুরো সম্পদ দান করে দিয়েছেন এবং আবার শুরু করেছেন।
দরিদ্রদের সহায়তায় তিনি কখনোই পিছপা হননি।
হাসান (রাঃ) ছিলেন শান্ত-শিষ্ট এবং দয়ালু প্রকৃতির মানুষ। ব্যক্তিগত জীবনে অত্যন্ত বিনয়ী ও সদাচারী ছিলেন।
তিনি কুরআন, হাদীস ও ইসলামী জ্ঞান চর্চা করতেন।
অনেক সাহাবি তাঁর কাছ থেকে হাদীস শুনেছেন।
হযরত আলী (রাঃ)-এর শাহাদাতের পর, মুসলিমরা তাঁকে খলিফা হিসেবে মেনে নেন।
কিন্তু অল্প কিছু সময় পর তিনি মুসলিম উম্মাহর মধ্যে দ্বন্দ্ব ও যুদ্ধ থামাতে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন।
হাসান (রাঃ) ছিলেন এক মহান আত্মত্যাগী নেতা, শান্তিকামী মানুষ, উদার ও বিনয়ী চরিত্রের অধিকারী, যাঁর জীবন থেকে মুসলমানরা নেতৃত্ব, ত্যাগ, সহনশীলতা এবং ভ্রাতৃত্ববোধের অনন্য শিক্ষা পেতে পারে।
চানলে তাঁর ভাই হুসাইন (রাঃ) নিয়েও জানাতে পারি — তিনিও ইসলামের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় নাম।
মন্তব্য করুন